এবার অলরাউন্ডার হিসেবে বেশ সুনাম কুড়াচ্ছেন পাকিস্তানের ইফতিখার আহমেদ। বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাট হাতেও কার্যকরী ইনিংস খেলছেন তিনি। জাতীয় দলের পাশাপাশি লিগগুলোতেও চলছে তার চমক। সেই চমক দেখা গেল এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচেও। নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি পেয়েছেন ইফতিখার। সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে সেজদায় লুটিয়ে পড়েন ইফতিখার এদিন শহীদ আফ্রিদির রেকর্ড ভেঙে এশিয়া কাপের চতুর্থ দ্রুততম সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন ইফতিখার।
এদিকে এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচেই অধিনায়ক বাবর আজম ও ইফতিখার আহমেদের রেকর্ড জুটিতে বিশাল সংগ্রহ পেয়েছে পাকিস্তান। নির্ধারিত ৫০ ওভারে শেষে ৬ উইকেটে ৩৪২ রান করেছে পাকিস্তান। এই ম্যাচে ২২৪ রানের রেকর্ড জুটি গড়েন বাবর-ইফতিখার। এই জুটি পাকিস্তানের ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি। সেই সঙ্গে ওয়ানডেতে ৫ম উইকেট জুটিতেও পাকিস্তানের সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ড গড়েছেন বাবর-ইফতিখার। ১৩১ বলে ১৪টি চার ও ৪টি ছক্কায় ১৫১ রান করেন পাক অধিনায়ক।
অন্যদিকে এশিয়া কাপ ইতিহাসে চতুর্থ দ্রুততম শতক হাঁকান ইফতিখার। মুলতানের মাঠে ৭১ বলে ১০৯ রানে অপরাজিত ছিলেন ইফতিখার। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন মাত্র ৬৭ বলে। এর আগে চতুর্থ দ্রুততম শতক ছিল আফ্রিদির ৬৮ বলে। আফ্রিদির রেকর্ডকে পাঁচে ঠেলে দিয়ে চারে স্থান করে নিয়েছেন ইফতিখার।
এদিকে এশিয়া কাপের ইতিহাসে দ্রুততম শতক শহীদ আফ্রিদির। ২০১০ সালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৫৩ বলে শতক হাঁকান তিনি। ২০০৮ সালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৫৫ বলে শতক করেন মাতারা হ্যারিকেন খ্যাত সনাৎ জয়সুরিয়া। আর তিনে থাকা সুরেশ রায়ানা ২০০৮ সালে ৬৬ বলে শতক হাঁকান হংকংয়ের বিরুদ্ধে। ২০১০ এশিয়া কাপে আরও একটি শতক হাঁকান শহীদ আফ্রিদি। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করেন মাত্র ৬৮ বলে। যা এশিয়া কাপের ইতিহাসে পঞ্চম দ্রুততম।